সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে পানির ট্যাংকি দেওয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ৮ মাসেও কোন ট্যাংকি দিতে পারেননি তিনি। এমনকি টাকাও ফেরত দেননি। ভুক্তভোগী টাকা ফেরত চাইতে গেলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
সুত্রে প্রকাশ আশাশুনি উপজেলার পাইথলী গ্রামের মিঠু সরদারের মেয়ে মোছা: সাথী খাতুন জানান, গত ৭ থেকে ৮ মাস পূর্বে দরিদ্র অসহায় মানুষদের কাছ থেকে পানির ট্যাংকি দেওয়ার নাম করে জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা দাবি করেন সাতক্ষীরা জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা সিদ্দিকী। আমি তার কথায় বিশ্বাস করে গ্রামের অসহায় ১০ জন মানুষের নিকট থেকে মোট ২২ হাজার টাকা তুলে সীমা সিদ্দিকীর কাছে দেই। টাকা নেওয়ার পর কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও ট্যাংকি না দেওয়ায় তার কাছে টাকা বা ট্যাংকি চাইতে গেলে উল্টো বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেচ্ছে। এঘটনায় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
ভূক্তভূগী ব্যক্তিরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার পাইথলি গ্রামের সাত্তার গাজীর স্ত্রী বিউটি খাতুন, সিদ্দিক গাজীর স্ত্রী ফরিদা খাতুন, খোকন সরদারের স্ত্রী কহিনুর খাতুন, শহিদুল পাড়ের ছেলে সুমন পাড়, সাত্তার গাজীর ছেলে ইউনুস গাজী, একই উপজেলার বেউলা গ্রামের তানভীর হোসেনের স্ত্রী তানজিলা বেগম, নওশের আলীর ছেলে আব্দুর রহিম ও শহিদুল ইমলাম।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সীমা সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি তাদের টাকাটা ফেরত দিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু একজনের কাছে দিতে পারবো না। যাদের কাছ থেকে নিয়েছি তাদের সকলকে এক জায়গায় করে আমাকে জানালে টাকা ফেরত দিয়ে দেবো।
এঘটনায় ভূক্তভূগীরা অর্থ আত্মসাতকারী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা সিদ্দিকীর নিকট থেকে অর্থ ফেরত ও তার বিচার দাবী করে পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।