আবু সাঈদ,সাতক্ষীরা : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী লাবসা ইউনিয়ন এর ৭ বারের নির্বাচিত নিয়মিত চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল আলীম। বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোড়ন তুলেছেন। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে তাঁর আবির্ভাব যেন এক অগ্নিশিখার মতো, যিনি স্বচ্ছতা, দৃঢ়তা এবং সাংগঠনিক সক্ষমতার মূর্ত প্রতীক হয়ে জনগণের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছেন।
এলাকার জনপদ জুড়ে ইতোমধ্যেই আব্দুল আলীম চেয়ারম্যান এর প্রচারণা ও শোডাউন ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। সাতক্ষীরা গ্রামীণ জনপথ থেকে শুরু করে শহরের অভিজাত মহল পর্যন্ত, সর্বত্র তাঁর কর্মীদের দৃপ্ত পদচারণা এবং প্রচারণার ঝড় বইছে। ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের কাছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়েও সরাসরি এই বিষয়ে কথা বলছেন , তাদের দুঃখ-দুর্দশা শোনা এবং সমস্যার সমাধানের অঙ্গীকার তাঁকে সাধারণ জনগণের কাছে আপনজনের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।স্থানীয় জনমত বিশ্লেষণে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত এবং পিছিয়ে পড়া সাতক্ষীরা ২ আসনের মানুষ চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম এর মধ্যে খুঁজে পাচ্ছেন একটি নির্ভরযোগ্য নেতৃত্বের ছায়া। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান কেবল দলীয় সীমারেখায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তিনি সংস্কৃতি, সমাজ ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরেই জনগণের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত, এ কারণে তাঁকে কেন্দ্র করে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জন্য নিঃসন্দেহে অস্বস্তিকর বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।আব্দুল আলীম এর নেতৃত্বে সম্প্রতি সাতক্ষীরা সদর ২ আসনে অভূতপূর্ব চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে পায়ে হেঁটে বিএনপি সহ সাধারণ মানুষের ব্যাপক ভাবে দেখভাল করছেন দীর্ঘদিন ধরে, বিশাল মানবসমাবেশ এবং গণমিছিল জনমনে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। এসব শোডাউন কেবল শক্তির প্রদর্শনী নয়, বরং জনগণকে সাথে নিয়ে পরিবর্তনের অঙ্গীকারের এক দৃশ্যমান রূপ। তিনি দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা দিয়েছেন- সাতক্ষীরা ২ আসনের জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হলে, দুর্নীতি, বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থান নিতে হবে।”
শুধু সাতক্ষীরা ২ আসন নয় বৃহত্তর সাতক্ষীরা জেলার জনগনের পাশে থাকার ও অঙ্গিকার বদ্ধোপরিকর এবং জনাব তারেক রহমানের বিনির্মাণ বাংলাদেশ গড়ার ও সপৎ নিয়েছেন এই বর্ষীয়ান এই নেতা । আব্দুল আলীম শুধুমাত্র একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও বটে। জনসেবার অঙ্গনে দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততা তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য ও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। এ সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে একাকার হয়ে তাঁকে দিয়েছে এক ভিন্নমাত্রার গ্রহণযোগ্যতা। ফলে জনসাধারণের মধ্যে তাঁর প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে স্বচ্ছ, সৎ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতীক।
বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সাতক্ষীরা ২ আসনে আব্দুল আলীম এর নাম এখন প্রতিটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বাজার-ঘাট, চায়ের দোকান কিংবা সামাজিক আড্ডায় সর্বত্র শোনা যাচ্ছে তাঁর প্রসঙ্গ। মানুষ বলছে— “আমাদের জন্য এমন একজন নেতা দরকার, যিনি কেবল নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতি করবেন না, বরং সবসময় জনগণের সাথে থাকবেন।”
আব্দুল আলীম তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং জনবান্ধব মনোভাব দিয়ে ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছেন যে তিনি কেবল একজন প্রার্থী নন, বরং সাতক্ষীরা – ২ আসনের মানুষের কাছে আশার প্রতীক। গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে তিনি মাঠে নেমেছেন এক অকুতোভয় যোদ্ধার মতো। তাঁর এই গণঅভিযান কেবল নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মসূচি নয়, বরং একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা।এলাকার মানুষ তাই বিশ্বাস করছে, সময় এসেছে নেতৃত্বের মেরুকরণ ভেঙে দিয়ে একজন সৎ, সাহসী ও সর্বজন শ্রদ্ধাশীল নেতাকে সংসদে পাঠানোর। আর সে নেতৃত্বের নাম চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম। তিনি ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত গ্রাম সরকার ছিল এবং ১৩ নং লাবসা ইউনিয়ন এর (১৯৮১ – ১৯৮৩ পর্যন্ত গ্রাম সরকার প্রধান ছিল। লাবসা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ১৯৮৩ – ১৯৯০ সাল পর্যন্ত। সাতক্ষীরা সদর থানা বিএনপির ৯ সাল থেকে তিনি সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জেলা ও থানা—দুই স্তরে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি সংগঠনকে শক্তিশালী করেন।জেলা বিএনপি (২০০৯ সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।জেলার নীতি নির্ধারণ ও সাংগঠনিক কাজে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরবর্তীতে সদ্য সাবেক সদস্য-সচিব, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির দায়িত্ব পালন করেন ২০১৯ থেকে ২০২৫ সাল পযর্ন্ত। আব্দুল আলীম চেয়ারম্যানের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও সাংগঠনিক অবদান সাতক্ষীরার রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান তৈরি করেছে।
রিপোর্টার 















