আজ ০৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
[gtranslate]

সাতক্ষীরায় রেলসংযোগ বাস্তবায়নের দাবিতে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি

  • রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ৮৮ বার

সাতক্ষীরাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন নাভারণ–সাতক্ষীরা–মুন্সিগঞ্জ রেলপথ বাস্তবায়নের দাবিতে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে “রেল আন্দোলন, সাতক্ষীরা”।

১৮ আগস্ট (সোমবার) স্মারকলিপিতে জানানো হয়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় প্রায় ২২ লাখ মানুষের বসবাস। এ জেলার মানুষ দীর্ঘ ১১১ বছর ধরে একটি কার্যকর ও আধুনিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখছে। বর্তমান সরকারের পরিকল্পনায় সাতক্ষীরার রেল সংযোগ সম্প্রসারণের একটি প্রকল্প অনুমোদিত থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে অর্থায়নের অভাবে তা স্থবির হয়ে আছে।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সীমান্তবর্তী ও কৃষিনির্ভর জেলা সাতক্ষীরার কৃষক ও মৎস্যজীবীদের উৎপাদিত পণ্য দেশ-বিদেশে সহজে পৌঁছাতে রেলপথ অপরিহার্য। ভোমরা স্থলবন্দর, যা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম, এবং বসন্তপুর নৌবন্দর রেল সংযোগের আওতায় এলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

এছাড়া, যশোরের নাভারণ থেকে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত ৯৮.৪২ কিমি রেলপথ নির্মিত হলে, সুন্দরবন পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। পর্যটকদের জন্য সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

স্মারকলিপিতে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠান ক্যানারেইল লিমিটেড ইতোমধ্যে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে এবং ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রণীত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়েছে।

স্মারকলিপির মাধ্যমে সাতক্ষীরাবাসীর পক্ষ থেকে জোরালোভাবে দাবি জানানো হয়, নাভারণ–সাতক্ষীরা–মুন্সিগঞ্জ রেলসংযোগ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হোক।

“সাতক্ষীরাবাসীর স্বপ্নের রেললাইন চাই”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে রেল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জানান, শ্যামনগর উপজেলার সকল সহযোদ্ধা ভাই ও বোনদের প্রতি রইল অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা।

তাঁদের ভাষায়, “শ্যামনগর উপজেলার জনগণের কাছে চিরঋণী হয়ে থাকলাম। আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত আমি।”

স্মারকলিপি গ্রহণ করে ইউএনও মহোদয়া আশ্বস্ত করেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপিটি যথাযথভাবে প্রেরণ এবং যথাসম্ভব প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করবেন।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় রেলসংযোগ বাস্তবায়নের দাবিতে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি

আপডেট টাইম : ০৩:৪৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

সাতক্ষীরাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন নাভারণ–সাতক্ষীরা–মুন্সিগঞ্জ রেলপথ বাস্তবায়নের দাবিতে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে “রেল আন্দোলন, সাতক্ষীরা”।

১৮ আগস্ট (সোমবার) স্মারকলিপিতে জানানো হয়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় প্রায় ২২ লাখ মানুষের বসবাস। এ জেলার মানুষ দীর্ঘ ১১১ বছর ধরে একটি কার্যকর ও আধুনিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখছে। বর্তমান সরকারের পরিকল্পনায় সাতক্ষীরার রেল সংযোগ সম্প্রসারণের একটি প্রকল্প অনুমোদিত থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে অর্থায়নের অভাবে তা স্থবির হয়ে আছে।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সীমান্তবর্তী ও কৃষিনির্ভর জেলা সাতক্ষীরার কৃষক ও মৎস্যজীবীদের উৎপাদিত পণ্য দেশ-বিদেশে সহজে পৌঁছাতে রেলপথ অপরিহার্য। ভোমরা স্থলবন্দর, যা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম, এবং বসন্তপুর নৌবন্দর রেল সংযোগের আওতায় এলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

এছাড়া, যশোরের নাভারণ থেকে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত ৯৮.৪২ কিমি রেলপথ নির্মিত হলে, সুন্দরবন পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। পর্যটকদের জন্য সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

স্মারকলিপিতে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠান ক্যানারেইল লিমিটেড ইতোমধ্যে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে এবং ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রণীত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়েছে।

স্মারকলিপির মাধ্যমে সাতক্ষীরাবাসীর পক্ষ থেকে জোরালোভাবে দাবি জানানো হয়, নাভারণ–সাতক্ষীরা–মুন্সিগঞ্জ রেলসংযোগ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হোক।

“সাতক্ষীরাবাসীর স্বপ্নের রেললাইন চাই”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে রেল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জানান, শ্যামনগর উপজেলার সকল সহযোদ্ধা ভাই ও বোনদের প্রতি রইল অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা।

তাঁদের ভাষায়, “শ্যামনগর উপজেলার জনগণের কাছে চিরঋণী হয়ে থাকলাম। আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত আমি।”

স্মারকলিপি গ্রহণ করে ইউএনও মহোদয়া আশ্বস্ত করেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপিটি যথাযথভাবে প্রেরণ এবং যথাসম্ভব প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করবেন।